গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার হলে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে চলচ্চিত্রের প্রয়াত গুণিজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শীর্ষক অনুষ্ঠান মনীষী স্মরণ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে চলচ্চিত্র পরিচালক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলমগীর কবির সম্পর্কে প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা এবং তার 'মহানায়ক' চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয়।
প্রবন্ধ: "সাব্যসাচী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আলমগীর কবির ও তাঁর সীমানা পেরিয়ে(১৯৭৭) চলচ্চিত্রের একটি নিবিড় পাঠ।" প্রাবন্ধিক: অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার ম্যাডাম।
আলোচনা করেন নাজিম-উদ-দৌলা, লাবনী আশরাফি সহ আরো অনেকে। সভাপতিত্ব করেন অনুপম হায়াৎ।
ঐদিন আমার সাথে এক ম্যাজিক্যাল ঘটনা ঘটে। সেমিনারে অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার ম্যাডাম এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, "আপনি কি ইমরান?" আমি বলি- জি ম্যাডাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়াশোনা করি জানতে পেরে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির সাহেব- ড. কামালউদ্দিন কবির স্যারের কথা বলেন। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার ম্যাডাম। এরপর বক্তারা প্রবন্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এতে উঠে আসে- আলমগীর কবিরের কর্মময় জীবন, নির্মাণ, সিনেমার নব্য ধারা, সিনেমা হল বিলুপ্তি ও বর্তমান সময়ে কেন আলমগীর কবিরের মত গুণিজন চর্চা কেন প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়। সেমিনারে লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক অনুপম হায়াৎ তার শিক্ষক আলমগীর কবিরের কথা স্মরণ করে বলেন, "তিনি বেশ কিছু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ক্লাসে তিনি ফ্রেন্স, জার্মানি ইত্যাদি ভাষা শিখতে বলতেন।"
আলমগীর কবিরের সীমানা পেরিয়ে চলচ্চিত্র ১৯৭০ সালের উপকূলীয় অঞ্চলে এক ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়। পরিচালকের পৈতৃক বাসস্থান বরিশাল জেলার বানারিপাড়ার উপজেলায়। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সংগ্রামের গল্প তিনি ভালো জানেন। ১৯৭০ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের জনমনে দাবি উঠে ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস চাই!
এত গুণী মানুষের সামনে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার ম্যাডামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। পরিশেষে, এই সেমিনারের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।
মুহাম্মদ আল ইমরান।
শনিবার, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
Comments
Post a Comment