Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2024

শুভ জন্মদিন তানভীর মোকাম্মেল।

  শুভ জন্মদিন গুণী নির্মাতা।  আপনার নির্মিত চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র থেকে প্রতিনিয়ত কিছু শেখার চেষ্টা করছি। আপনি আমাদের জন্য তৈরি করেছেন অমূল্য সম্পদ। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের "School of Oriental and African Studies" এম.এ ক্লাসের জন্য আপনার "রূপসা নদীর বাঁকে(Quiet Flows the Rever Rupsa)" চলচ্চিত্রটি টেক্সট ফিল্ম হিসেবে অন্তভূক্ত করেছে। তাই চলচ্চিত্রটি ঐ দিনই দেখলাম।  এর আগে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কালজয়ী উপন্যাস “লালসালু” অবলম্বনে আপনার নির্মিত চলচ্চিত্র সর্বপ্রথম দেখি। এরপর আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত "হুলিয়া", "নদীর নাম মধুমতী", "জীবনঢুলি", ১৯৪৭ সালের দেশভাগের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র "সীমান্তরেখা" ও চলচ্চিত্র "চিত্রা নদীর পারে" ইত্যাদি দেখেছি।  "অনলাইন চলচ্চিত্র পাঠচক্র" এর সুবাদে মার্চ(২০২৪) মাসে পড়ছি আপনার "চলচ্চিত্র নন্দনতত্ত্ব ও বারোজন ডিরেক্টর" বইটি। আপনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সব সময় সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন এই কামনা করি।  ~ মুহাম্মদ আল ইমরান...

জবি সাহিত্য সংসদ: তারুণ্যের ভালো অভ্যাস - মুহাম্মদ আল ইমরান।

শিরোনাম: জবি সাহিত্য সংসদ: তারুণ্যের ভালো অভ্যাস। লেখক: মুহাম্মদ আল ইমরান। এরিস্টটলের উক্তি জানতে ইন্টারনেটে সন্ধান করলে একটি উক্তি চিন্তাশক্তিকে নাড়া দেয়। উক্তি হলো- "তরুণ বয়সে অর্জিত ভালো অভ্যাসই ভিন্নতা এনে দেয়।" ~ এরিস্টটল। সাহিত্য রচনা যে একটি ভালো অভ্যাস এটা বলতে দ্বিধা নেই। তাই তরুণ বয়সে যদি সাহিত্য রচনার মত ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায় তাহলে ব্যক্তি জীবনে অন্যদের থেকে ভিন্নতা এনে দিবে। বাংলা সাহিত্যকে তিন যুগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো প্রাচীন যুগ(৯৫০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত), মধ্যযুগ(১৩৫০ থেকে ১৮০০ পর্যন্ত), আধুনিক যুগ(১৮০০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত)। তবে এই তিন যুগের মধ্যে আছে অন্ধকার যুগ(১২০০ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত) তখন দেড়শো বছর বাঙলা ভাষায় কিছু রচনা হয় নি। হুমায়ুন আজাদ তার "লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী" গ্রন্থে 'প্রদীপ জ্বললো আবার: মঙ্গলকাব্য' শিরোনামে লিখেন অন্ধকার যুগের অবসানের পরে যে সাহিত্য রচনা হয়েছে সেই কথা। লেখকরা তাদের সৃজনশীলতা বিস্তৃত করে দেন পাঠকের জন্য। রচিত হতে থাকে ছোটগল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও নাটকের মত নতুন নতুন সাহিত্য। তবে এখানে চিন্ত...

Muhammad Al Emran - মুহাম্মদ আল ইমরান

মুহাম্মদ আল ইমরান এম এ ইমরান নামেও পরিচিত, একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, লেখক এবং নির্মাতা। ইমরান থিয়েটার, ফিল্ম এবং টেলিভিশন প্রযোজনায় একজন অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। তার নিজের নামে (Muhammad Al Emran) একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে তিনি বই রিভিউ এবং তথ্যচিত্র সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করেন। কর্মজীবন : অভিনয়:  ইমরানের  অভিনয় জীবন শুরু হয় থিয়েটার দিয়ে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে  জ্যাঁ পল সার্ত্রের 'মেন উইদাউট শ্যাডোজ' অবলম্বনে 'ছায়াহীন কায়া' নাটকে ল্যান্ড্রুজ(লুৎফর/লাভলু) চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকটি পরিকল্পনা ও বিনির্মাণ করেন তৌফিক মেসবাহ। নাটকটি প্রথমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের দ্বারা নাট্য নির্মাণ কোর্সের আওতায় পরীক্ষা হিসেবে মঞ্চস্থ হয়। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নাটকটি ২য় বারের মত মঞ্চস্থ হয়। ছবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৪ এর দর্শকবৃন্দ ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন ও রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা ম্যাডামের সঙ্গে অভিনেতারা। মেন উইদাউট শ্যাডোজ নাটকের শেষ দৃশ্য মেন উইদাউট শ্যাডোজ নাটকের শুরু ...

নগরীতে ~ মুহাম্মদ আল ইমরান

ক্ষানিকটা সময় আমি দারিয়ে ছিল লঞ্চঘাটে। মুখে মাস্ক। তারপরও গন্ধটা একদম পেটের গভিরে চলে গেল। কিন্তু সবুজ মিয়া, ফোরকান জব্বার, সোবাহান এদের নামের মত লোকেদের কি নাক নাই? আমি পানি থেকে অনেকটা উপরে। আর ওরা তো ছোট নৌকায় কালো পানির উপরে ভাসে। হাতে ওদের দার। মনে আছে ওদের পেটের চাওয়া। ঐ দার দিয়ে গোটা পরিবার চলে। নৌকার ব্যক্ত্যর্থের হিসাব করা আমার পক্ষে সম্ভব হলো না। মনে হলো আকাশের তারার মতো নৌকা। গননার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু হচ্ছে না। এদিক থেকে ওদিকে তারা নৌকা চালাচ্ছে। গননা বাদ দিলাম। বেঁচে থাকার দাগিতে মানুষ মরে যায় না, মানুষ বাঁচে সবাইকে নিয়ে। ডান দিকে তাকিয়ে দেখি চিঠি বিহীন প্রেমিক প্রেমিকা আসছে। আগে প্রেম হতো চিঠি বিনিময়ের মাধ্যমে। কিন্তু এখন প্রেম হয় অনলাইনে। সেকালের প্রেমে নদী আর নৌকার দৃশ্য থাকতো। দেখে ভাবলাম এরা অনলাইনে প্রেম করলেও এদের ভাবনা আগের মতো। ঠিক তাই। ছেলে আর মেয়টা বুঝি আমাদের সময়ের প্রেমের গল্প ওদের মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনেছে। আজ আমার বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই করে। এককালে আমি যুবক ছিলাম। প্রেমের বাতাস আমার আলয়েও এসেছিল। থাক বাদ দেই ঐ কথা। তবে চিঠিতে প্রেম আবেগের ছিল। সে যখন আমা...

আমার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ~ মুহাম্মদ আল ইমরান

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ আছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়ে বিভিন্ন ক্রমবিবর্তনের একপর্যায়ে বাংলা ভাষা আমাদের আপন করে নিয়েছে। ভাষা ও সংস্কৃতি একটি দেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ, গবেষণা, উন্নয়ন তথা উৎকর্ষসাধনে কাজ করে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের 'সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।' একজন ব্যক্তি যে সমাজে জন্মগ্রহণ করে সে সমাজের ভাষা ও সংস্কৃতি দ্বারা সেই ব্যক্তি বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। শিশুর জন্মের পর সবচেয়ে কাছের মানুষ মা। মা কথাটি যেমন মধুর তেমনি মায়ের ভাষাও মধুর। মায়ের ভাষার মূল্য এত বেশি যে, কোনো কোনো জাতির পরিচয় সেই জাতির ভাষা অনুসারে। আমাদের পরিচয় বাঙালি এবং আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা। আমাদের আছে নিজস্ব সংস্কৃতি। যা অন্য সকল জাতি থেকে আমাদের পৃথকভাবে পরিচয় তৈরি করে দিয়েছে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর বল প্রয়োগ ও কূটকৌশলের মাধ্যমে বাংলা বিহার উড়িষ্যা ছাড়াও সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের শাসন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ভারতবাসী ব্রিটিশ ...