Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2024

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নাট্যচর্চা - মুহাম্মদ আল ইমরান।

সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মত নাটকও একটি তাৎপর্যপূর্ণ শাখা। পৃথিবীর নাটকের ইতিহাস, ভারতীয় নাটকের ইতিহাস, দেশজ নাটকের ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জিত হয় নাট্যকলায়। নাট্য, নাটক, নট, নটী এই সকল শব্দের মূলে রয়েছে নট্। নট্ মানে নড়াচড়া করা। আর নাট্যের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Drama. যা গ্রিক Dracin থেকে এসেছে। এর অর্থ To Do কিংবা কোন কিছু করা। অন্যদিকে কলা কথাটির একাধিক অর্থ থাকলেও দৈনন্দিন জীবনে প্রধানত দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত দক্ষতা, পারদর্শিতা ও কর্মপটুতা অর্থে এবং দ্বিতীয়ত জ্ঞানের প্রয়োগ সম্পর্কিত ধারাবাহিক জ্ঞানকে বোঝায়। বাংলাদেশে নাট্যকলার অ্যাকাডেমিক যাত্রা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হলেও এর তাত্ত্বিক গ্রন্থ বা নাট্যকলার দর্শনশাস্ত্র ভরত ও দার্শনিক এরিস্টটল এর সময়কাল থেকে প্রয়োগ হয়ে আসছে। নাট্য নির্মাণে, অভিনয়ে ও রচনায় যেমন প্রায়োগিক জ্ঞানের প্রয়োজন আছে তেমনি তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব রয়েছে। ভরতমুনির "নাট্যশাস্ত্র" কিংবা এরিস্টটলের "কাব্যতত্ত্ব"(Poetics) উভয় তাত্ত্বিক জ্ঞান বাদ দিলে নাট্যশিক্ষা স্থবির হয়ে যাবে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের উক্ত দুই...

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন: বাংলা নাটকের প্রধান পুরুষ।

ছবি: সেলিম আল দীন। সেলিম আল দীন ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহ হাজী আফতাব উদ্দিন ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব কাস্টমস, মফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় সন্তান সেলিম আল দীন। পিতার চাকরির সূত্রে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি ফেনীর সেনেরখীলের মঙ্গলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি পাস করেন এবং ফেনী কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন৷ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ভর্তি হন টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় সাদত কলেজে৷ সেখান থেকে স্নাতক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ছিলেন। তার লেখা আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ সম্পর্কে বাংলা প্রবন্ধ 'নিগ্রো' কবি আহসান হাবীব সম্পাদিত 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকায় ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হ...

এম এম কামাল রাজ পরিচালিত "বিদিশা": অবজ্ঞায় প্রতিশোধ।

"কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে?" তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার কবি উপন্যাসে এই চরণ বলেছেন। আমরা কালো চুল পাকিলে কাঁদি আবার কালো অবজ্ঞা করি। নারী দিবসের বিশেষ নাটক 'বিদিশা'য় এই কালো বা শ্যামা মেয়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং সেই মেয়ের আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে। ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষে সিনেমাওয়ালার ইউটিউবে প্রচারিত হয় মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'বিদিশা' নাটক। গল্প লিখেছেন আবুল বাশার পিয়াস। নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। আরো আছেন শামীমা নাজনীন, সমু চৌধুরী, এরফান মৃধা শিবলু সহ আরো অনেকে। যখন বিদিশা নিজের নিরাপত্তা হবে ভেবে শিক্ষার্থীর মায়ের নিকট বলতে গেল তখন তার নিকট থেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের রোষানলে পড়তে হলো। নারী হয়ে নারীর কাছেই কি আশ্রয় মিলল? বাহ্যিক সৌন্দর্যের কাছে যারা পরাজয় স্বীকার করে। তাদের প্রতিনিধি শিক্ষার্থীর মা।  বিদিশার বাবা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দর্পণ স্বরুপ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার স্ত্রীর কথার বিপরীতে বলতে গিয়ে মেয়েকে বিদ্রুপ করতেও বাঁধল না। নিজের মেয়েকে বিষের সন্ধান দেয়। পরে মেয়ের সফলতায় সে মেয়ের প্রতি সদয় হ...

তুমি এসো আমারও আলয়....

  গান: তুমি এসো আমারও আলয়.... কথা: মুহাম্মদ আল ইমরান। তুমি এসো এসো আমারও আলয়... যখন আসবে তুমি, থাকবেনা আর অভিমান। তোমায় রাখবো, আমার বুকেতে। তুমি এসো আমারও আলয়... তোমার মেঘো কেশে- আখি পল্লবে লাল ঠোটে তুমি বলবে কথা, আমায় নিয়ে। একটু রেগে হাসি মুখে... ভালোবাসবে আমায়। তুমি এসো আমারও আলয়... তুমি এসো মুক্ত কেশে, আমারও আলয়। নীল শাড়ি পড়তে, ভুলনা না যেন। তুমি এসো আমারও আলয়। [লেখা কপি বা নকল করা থেকে বিরত থাকুন।] বিজ্ঞাপন ঘরে বসে Spoken English Course এ ভর্তি হওয়ার লিংক👉 https://10ms.io/FwnX8E ইংরেজির ভয়, এবার জয় হবে খুব সহজেই। এখন ঘরে বসেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্পোকেন ইংলিশ শিখুন টেন মিনিট স্কুলের 'ঘরে বসে Spoken English' কোর্সের সাহায্যে। 🔥 কোর্সটি কিনতে এখনই চলে যান উপরে 👆 দেওয়া লিংকে আর ঘরে বসেই হয়ে উঠুন স্পোকেন ইংলিশে প্রো। 💯  

কবিতা: ভালোবাসা।

 ভালোবাসা - মুহাম্মদ আল ইমরান। জানিনা জীবনানন্দ দাশ নাটোরের বনলতা সেনের নিকট কীরূপ শান্তি পেয়েছিল! তবে আমি এটা বলতে পারি জীবনানন্দ দাশের থেকেও বেশি শান্তি পাই আমি, তোমার থেকে।   আমি এমন-ই দূরবর্তী সম্পর্ক কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় আছি যে, সমাজে তোমার নাম বলতে পারি না। জীবনানন্দ দাশ পেরেছে। সে বলেছে নাটোরের বনলতা সেনের কথা।   তোমার নাম ঠিকানা না বলে- আমিও তোমার কথা বলি। আমারও ইচ্ছে করে, ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা, সভাকবি কুসুম কুমারী দাশের ছেলে, জীবনানন্দ দাশের মত বলতে নাটোরের বনলতা সেন।   তোমার ঠিকানা নাটোর নয়, তোমার নাম বনলতা সেন নয়।  তোমারও আছে ঠিকানা, তোমারও আছে নাম। আমি তোমার নাম ধরে ডাকি, তোমাকে ঘিরে স্বপ্নে বিভোর থাকি।   নাটোরের বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশকে- জিজ্ঞেস করেছিলো, "এতদিন কোথায় ছিলেন?" তুমিও আমাকে জানতে চাও, তোমার অভিমানের বুদ্বুদ উৎপত্তি থেকে।   তোমার থেকে আমি দূরে, বহু দূরে! পটুয়ার পটে আঁকার জন্য কিংবা পর্তুগিজদের আগমনের জন্য অথবা পট্টুয়ার খালের জন্য যে জেলার নাম পটুয়াখালী, সেখান থেকে- তোমার কাছে চিঠি লিখি। সঙ্গে পাঠিয়ে দেই তোম...

কবিতা: মা ফিরবেন।

 মা ফিরবেন - মুহাম্মদ আল ইমরান। চোখের পানি বৃষ্টি হয়ে পরে।  আপনার এক ফোটা চোখের পানিতে- হৃদয়ে বাঁধ ভাঙে। আপনি কাঁদবেন না আমার দিকে চেয়ে! স্মৃতি আপনার মনকে গভীরভাবে  নাড়া দেয়।  এক বিস্মৃতি আপনাকে স্তব্ধ করে দেয়। আমি বারবার আপনাকে দেখতে চাই- আপনার চোখের পানি আমি দেখতে চাই না। .........................................

নাট্যকলা বিভাগের ইতিবৃত্ত: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট চালু হয়। তখন শুরুর দিকে নাট্যকলা ও সংগীত একটি বিভাগ ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে মীজানুর রহমান ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে যোগদান করেন। তার বিশেষ আগ্রহে একই দিনে নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ এবং চরুকলা বিভাগ নামে ২টি বিভাগ চালু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের ক্লাস শুরু হয়। বিভাগের কার্যক্রম শুরুর আগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান কামালউদ্দীন কবির স্যার ( নাট্যকলা ) ও রেজওয়ান আলী স্যার ( সংগীত ) । শুরুরদিকে চেয়ারম্যান ছিলেন   ড . লাইসা আহমদ লিসা।   ২০১৫ সালের জানুয়ারি / ফেব্রুয়ারি মাসে নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ আলাদা হয়। আলাদা হাবার পর নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান হন মো. আব্দুল হালিম প্রামানিক স্যার ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান হন অনিমা রায়।  জগন্নাথ   বিশ্ববিদ্যালয়ের   নাট্যকলা   বিভাগের বর্তমান  চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন ম্যাডাম। ত...

ক্যাথরিন পার ও অন্যান্য: আমার শিক্ষকের বই।

বই: ক্যাথরিন পার ও অন্যান্য। লেখক: মরিস ব্যারিং। ভাষান্তর: ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন ম্যাডাম। আমি সবসময় চাইতাম আমার কোন শিক্ষক লেখক থাকবেন। এমনকি কলেজে গাজী সামিয়া সুলতানা ম্যাডামকে বলতাম, আপনি লিখতে পারেন না? তিনি হেসে বলতেন, পিএইচডি শেষ করে লিখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষকদের সম্পর্কে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখছিলাম তখন আমার সামনে আসে ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন ম্যাডামের বই। এরপর বই সংগ্রহ করার জন্য অনলাইন পরিবেশক রকমারি সঙ্গে যোগাযোগ করে বইটি না পেয়ে আরো সন্ধান শুরু করি। পরে থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ক্ষ্যাপা'র পাভেল রহমান ভাইয়ের সাথে কথা বলে বই প্রাপ্তি আশা দেখতে পাই। বইটি হাতে পেয়ে ক্যাথরিন ম্যাডামের অটোগ্রাফ আনতে যাই। অটোগ্রাফ না পেলেও সুন্দর একটি শব্দ ও ম্যাডামের ডিজাইন করা সিলমোহর পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়। বইটি হাতে পেয়েই পড়তে শুরু করি। আমার বাবা-মা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত বিধায় বইয়ের সঙ্গে আমার একটু বেশি ভালোবাসা বিনিময় হয়। তবে অন্য সকল লেখকের বইয়ের থেকে “ক্যাথরিন পার ও অন্যান্য” বইটি আমার কাছে বিশেষ। কারণ এই বইটি আমার শিক্ষকে। হুমায়ুন আজাদ তার ...