সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মত নাটকও একটি তাৎপর্যপূর্ণ শাখা। পৃথিবীর নাটকের ইতিহাস, ভারতীয় নাটকের ইতিহাস, দেশজ নাটকের ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জিত হয় নাট্যকলায়। নাট্য, নাটক, নট, নটী এই সকল শব্দের মূলে রয়েছে নট্। নট্ মানে নড়াচড়া করা। আর নাট্যের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Drama. যা গ্রিক Dracin থেকে এসেছে। এর অর্থ To Do কিংবা কোন কিছু করা। অন্যদিকে কলা কথাটির একাধিক অর্থ থাকলেও দৈনন্দিন জীবনে প্রধানত দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত দক্ষতা, পারদর্শিতা ও কর্মপটুতা অর্থে এবং দ্বিতীয়ত জ্ঞানের প্রয়োগ সম্পর্কিত ধারাবাহিক জ্ঞানকে বোঝায়। বাংলাদেশে নাট্যকলার অ্যাকাডেমিক যাত্রা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হলেও এর তাত্ত্বিক গ্রন্থ বা নাট্যকলার দর্শনশাস্ত্র ভরত ও দার্শনিক এরিস্টটল এর সময়কাল থেকে প্রয়োগ হয়ে আসছে। নাট্য নির্মাণে, অভিনয়ে ও রচনায় যেমন প্রায়োগিক জ্ঞানের প্রয়োজন আছে তেমনি তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব রয়েছে। ভরতমুনির "নাট্যশাস্ত্র" কিংবা এরিস্টটলের "কাব্যতত্ত্ব"(Poetics) উভয় তাত্ত্বিক জ্ঞান বাদ দিলে নাট্যশিক্ষা স্থবির হয়ে যাবে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের উক্ত দুই...